হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর আশঙ্কায় বাড়লো স্বর্ণের দাম
অস্থিতিশীলতার নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যুদ্ধ। বিশ্বের আর্থিক বাজারগুলো এই সংঘাতের ফলে প্রতিকূল অবস্থার আশঙ্কা করছে। এই অবস্থায়, বিনিয়োগের নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যবান এই ধাতুর দর ১ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
আর্থিক বাজারে আশঙ্কার প্রধান কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলো এখন বিশ্বস্তরে অন্যতম বিনিয়োগকারী। এই অবস্থায়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়লে এই বিনিয়োগ প্রবাহ ব্যাহত হবে। তাছাড়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সরবরাহও ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি আছে। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জ্বালানি তেল সরবরাহ করে মধ্যপ্রাচ্য।
এই অবস্থায়, নিরাপদ বিনিয়োগের আরও দুই উৎস – মার্কিন ডলার ও জাপানি ইয়েন – উভয়ের দরই শক্তিশালী হয়েছে।
ইসরায়েলে আকস্মিক এ সংকট স্বর্ণের দাম বর্তমানে কিছুটা বাড়ালেও, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে দরে বড় ধরনের উত্থান ঘটবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষক ডেভিড লেনক্স।
এদিকে মার্কিন ডলারের দর আরও বাড়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। গেল সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়ার তথ্যপ্রকাশ করা হয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের আরও একবার নীতি সুদহার বাড়াতে পারে। সাধারণত, ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার উচ্চ করলে, তা স্বর্ণের দরে নেতিবাচক প্রভাবই ফেলে।
লন্ডনের খোলা বাজারে স্বর্ণের দর সোমবার ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫১ ডলারে। সে তুলনায়, ব্লুমবার্গের স্পট ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। রূপা ও প্লাটিনামের মতো মুল্যবান ধাতুর দামও কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে প্যালাডিয়ামের দর।