মানবিক কারণে দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মানবিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেন, "কাতারের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায়, আল-কাসাম ব্রিগেডস মানবিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে দুই আমেরিকান নাগরিককে (মা-মেয়ে) মুক্তি দিয়েছে।"
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ৫৯ বছর বয়সী জুডিথ তাই রানান এবং তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে নাটালিকে গাজা উপত্যকা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে হামাস। আরব-ইসরায়েলে চলমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথম বন্দীমুক্তি হিসেবে মার্কিন এই মা-মেয়ের মুক্তি উভয়পক্ষই নিশ্চিত করেছে।
আবু ওবাইদা বলেন, "এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, মার্কিন জনগণ এবং পুরো বিশ্বের কাছে প্রমাণ করা যে, বাইডেন ও তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের দাবিগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।"
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য গাজী হামাদ বলেন, দুই মার্কিন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হামাসের পক্ষ থেকে একটি 'শুভেচ্ছার' ইঙ্গিত।
দুই জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে হামাস কিছু পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হামাদ জানান, "এটি হামাসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছার একটি ইঙ্গিত; এর মাধ্যমে পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।"
"বন্দীদের বিষয়টি হামাস ইতিবাচকভাবে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত; তবে প্রথমে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। হামাস জিম্মিদের সাথে যথেষ্ট মর্যাদা ও সম্মান দিয়েই আচরণ করছে," বলেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবরের হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি পক্ষের ২০০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে হামাস।
দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪,১৩৭ মানুষ নিহত হয়েছেন; অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১,৪০০ জন।