গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩০
গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। বোমা-বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে যে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার অধিকাংশই নারী ও শিশুর। সেখানকার সিভিল ডিফেন্স ইউনিট আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উপত্যকার আটটি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাসিক ভবনটিতে রোববার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর অনেকে হতাহতের শিকার হন।
হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়।
ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া ক্যাম্পে তিনটি স্কুল রয়েছে, যেগুলো ফিলিস্তিনি শণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) দ্বারা পরিচালিত হয়। এরমধ্যে কয়েকটি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছে; চলমান সংঘাতের মধ্যে শত শত বাস্তুচ্যুত পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগেও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েল এই শিবিরের একটি বাজারে বিমান হামলা চালায়। সে হামলায় ঠিক কত মানুষ নিহত হয়েছেন, তা এখনও অজানা।
এদিকে, হাজার হাজার আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলো। উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক আল জাজিরাকে বলেন, "আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকটে ভুগছি।"
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এ সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৬৫১ জনে; আহত হয়েছেন অন্তত ১৪,২৪৫ জন। অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১,৪০০ নিহত হয়েছেন।