ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ২৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৭৫ জনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ২৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে অনেকেই মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন শিশু ও তিন জন নারী রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা পরবর্তী জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রাথমিক তথ্য নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিজিএইচএস-এর ব্যবস্থাপক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ড. আবু হোসেন মো. মনিরুল আহসান জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা আলাদাভাবে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোন ঘাটতি হবেনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ, স্যালাইনসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পর্যাপ্ত আছে। এ ঘটনায় আহত ৮ জন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৮ জন নিটোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান,দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ২২ জনকে ঢাকায় ও ১৫ জনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি আমরা। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে ৬ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ টি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩ জন। যাদের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তারা স্পট ডেড ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। পোস্টমর্ডেম ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর ৮টি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ জন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ ৪০ জন চিকিৎসক ও নার্স- মিডওয়াইফসহ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন।