খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার
গতকাল মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার পর থেকে সেখানে কর্মরত নিখোঁজ এক নারীর মৃতদেহ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ জনে।
নিহতের চাচাতো ভাই আজিম জানান, শুক্রবার রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খাজা টাওয়ার ভবন থেকে আকলিমার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, "আকালিমা খাজা টাওয়ারে রেস অনলাইন লিমিটেডে কাজ করতেন। বিকেল ৪টার দিকে ফোন করে আমাদেরকে আগুন লাগার খবর জানায় সে। আকলিমা বলছিল যে সে আটকে আছে। পরে তার লাশ পাওয়া গেল।"
এর আগে, অগ্নিকাণ্ডে হাসনা হেনা (২৭) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত হাসনা হেনা ওই ভবনের ৯ম তলায় অরবিট নামের একটি ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানির সেলসে কাজ করতেন। জানা গেছে, আগুনের আতঙ্কে একটি তার ধরে গ্রিল টপকে নামার সময়ে তার ছিঁড়ে পড়ে যান হাসনা হেনা।
তার মরদেহ মেট্রোপলিটন পুলিশ হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানান তার স্বামী সনি।
এছাড়া ভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করার সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
ভবন থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী এলাকার ১৪তলা বাণিজ্যিক ভবন খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে।
শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের মতে, যে তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল সেখানে একটি আইএসপি অফিস রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সেখানে আটকে পড়া বেশিরভাগ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসত খাজা টাওয়ারের দুই ডেটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। যেহেতু ডেটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়েছে, তাই ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন হচ্ছে।