বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ২ দিনের অবরোধে রাজধানীতে গণপরিবহন কম
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে আবারও বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীতে গণপরিবহন কম চলতে দেখা গেছে। তবে এদিন সকালে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল বেড়েছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, শুক্রাবাদ, পান্থপথ হয়ে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এসব স্থানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকটা ভয় নিয়েই বাড়ির বাইরে এসেছেন তারা।
সকাল ৮টার দিকে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় মোহম্মদ নুরুজ্জামনের সঙ্গে। গতকাল রাতে ঝিনাইদহ থেকে আসা নুরুজ্জামন বলেন, "আমার বোন কল্যাণপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি। রাতে মিরপুর-১২ তে ছিলাম সকালে সিএনজিতে করে কল্যাণপুর এসেছি। আসার পথে বার বার মনে হচ্ছিল এই বুঝি রাস্তায় কোনো গাড়ি ভাঙচুর শুরু হয়ে যায়।"
কল্যাণপুর থেকে মোহম্মদপুরে কলেজে যাবেন ফাহিম সরদার। তিনি বলেন, "প্রথম যখন অবোরোধ হলো তখন কলেজে যেতে দেইনি মা। আজকে মা নিজেই বললো যাও, এভাবে কতদিন কলেজ বন্ধ দেবে। রাতে খবরে দেখলাম রাজধানীতে কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ভয় নিয়ে বের হয়েছি।"
অন্যান্য স্বাভাবিক দিনে সকালের এই সময়ে ঢাকার রাস্তাঘাটে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হলেও আজ রাস্তায় তেমন গণপরিবহন দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবি ও সোমবার দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে গেল সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ পালন করে বিএনপি। জামায়েতে ইসলামীও বিএনপির এই কর্মসূচিতে সমর্থন ও একাত্মতা জানিয়ে আসছে।