কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটিতে যুক্ত হলেন অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মুদ্রানীতি প্রণয়ন (মোনেটারি পলিসি) কমিটিতে অর্থনীতিবিদ হিসেবে যুক্ত করেছে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদকে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রৗয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এক চিঠিতে এমনটা জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট মোনেটারি পলিসি কমিটি পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন এই ফরম্যাটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গভর্নর সহ চারজন ও বাইরের তিনজন মোট সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সেদিনের বৈঠকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। তার মধ্যে ড. সাদিক আহমেদকে নিযুক্ত করা হয়।
এই কমিটির সভাপতি হবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও তিনজন সদস্য হবেন- চিফ ইকোনোমিস্ট, মোনেটারি পলিসি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর ও মোনেটারি পলিসি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে বাকি তিনজন হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ও অর্থনীতিবিদ হিসেবে ড. সাদিক আহমেদ।
আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোনিটরি পলিসি ছিল ৮ সদস্য বিশিষ্ট, যার সকল সদস্যই ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
চিঠিতে বলা হয়, মোনেটারি পলিসি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে এই বিভাগ কমিটির সকল দাপ্তরিক কাজ পালন করবেন।
জানা যায়, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ছয় মাসের জন্য একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। এই মুদ্রানীতি ঘোষণার পূর্বে মোনেটারি পলিসি কমিটির একাধিক বৈঠক হয়। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি নতুন কমিটির মাধ্যমেই হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোনেটারি পলিসি কমিটি ছিল অনানুষ্ঠানিক। এর ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোনেটারি পলিসি গঠনে একটি ইনস্টিটিউশনাল পদ্ধতি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে ৮%-এ নামিয়ে আনা।"