বিকাল থেকে বাস ছাড়ার প্রস্তুতি, যাত্রী সংকট গাবতলী বাস টার্মিনালে
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ৫ম ধাপের অবরোধ শেষে আজ (১৬ নভেম্বর) বিকাল থেকেই রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাস কোম্পানিগুলো। তবে প্রয়োজনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা কম দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, কিছু যাত্রী এসে অপেক্ষা করলেও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বিকাল ৪টা থেকে কিছু বাস ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাউন্টারগুলোতে।
বাস কাউন্টারের মাস্টাররা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের থেকে এক তৃতীয়াংশ সংখ্যক বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
শ্যামলী এন. আর. ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মো. শওকত আলী বাবু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, উত্তরবঙ্গে অন্য সময় ৪৫টির মতো গাড়ি চলতো প্রতিদিন। এখন অবরোধের কারণে ১০/১২ টি গাড়ি চলছে।
তিনি জানান, আজ বিকাল ৫টা থেকে গাড়ি ছাড়া শুরু হবে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৫টার বাসের ১৫/১৬ জন যাত্রী হয়েছে। উত্তরবঙ্গ, রাজশাহী, রংপুর দিনাজপুরের দিকে ছেড়ে যাবে গাড়িগুলো।
তিনি আরও বলেন, "আমরা এই অবরোধ চলাকালীন বিকাল থেকেই বাস ছাড়া শুরু করি।"
যমুনা লাইন থকে আসলাম জানান, গতকাল তাদের কোনো বাস ছাড়েনি। আজ উত্তরবঙ্গের বাস ছাড়বে ৩টা ৩০ মিনিট থেকে।
"আমাদের ৫টি বাস চলে নিয়মিত। আজ ২টি চলবে। যাত্রী একেবারেই কম। সাড়ে ৩টার বাসের মাত্র ১২/১৩ জন যাত্রী হয়েছে," যোগ করেন তিনি।
শ্যামলী বাসে রংপুর যাবেন নজরুল ইসলাম। টিবিএসকে তিনি বলেন, "জরুরি কাজে বাড়ি যেতে হচ্ছে, তাই ঝুঁকি নিয়েই যাচ্ছি।"
দুপুর ২টায় গাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে টিকিট বিক্রি করছিল কুষ্টিয়াগামী হানিফ পরিবহন। কাউন্টার মাস্টার শরীফ মাহমুদ জানান, "কাউন্টার থেকে ১০টির মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাই সময় কিছুটা পিছিয়ে ৩টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
হানিফ এন্টারপ্রাইজের স্টেশন মাস্টার বিক্রম চন্দ্র দাস টিবিএসকে বলেন, "আমরা ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে বাস ছাড়বো। প্রথম বাসটিতে ২০ জনের মতো যাত্রী হয়েছে।"
প্রতিদিন অন্তত ৬০টি ট্রিপের মতো বাস ছেড়ে যায় গাবতলী, সায়দাবাদ থেকে। আজ ২০টির মতো বাস ছাড়া হবে। অবরোধের আতঙ্কে গতকাল দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বলা যায়, এক সপ্তাহ পরে বাস চলাচল শুরু হল। তবে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম।