বগুড়া-৭ আসনে জেপির দুই প্রার্থী!
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জালিয়াতি করে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার মনোনয়পত্র বাতিল করেন।
প্রার্থিতা বাতিল হওয়া ব্যক্তির নাম রাকিব হাসান। তিনি বগুড়া সদরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রাকিব বগুড়া- ৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসন থেকে জাতীয় পার্টির (জেপি) দলীয় প্রার্থী বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই আসনে জেপির দলীয় মনোনয়ন জমা দেন মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বগুড়া জেলা জেপির সভাপতি বলে জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া-৭ আসনে আজ সোমবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। এই রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জেপি থেকে অর্থাৎ একই দল থেকে দু'জন ব্যক্তি এমপি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দু'জনেই দলের ফরমও দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে রাকিবের ফরমে জেপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতার স্বাক্ষর নেই। তবে আব্দুল মজিদের জমা মনোনয়নপত্রে মূল দলের ছিল। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে রাবিক হাসানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
জালিয়াতি করার বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিব বলেন, "আমি ভুয়া হয়ে থাকলে আমাকে জেপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন কেন দেওয়া হলো?"
রাকিবের মনোনয়ন বাতিলকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, একই দল থেকে দুই ব্যক্তির মনোনয়ন জমা হওয়ার পর জেপির পক্ষ থেকে রাকিবের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আমাদের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হয় রাকিব জালিয়াতি করে জেপির নাম ব্যবহার করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। ওই প্রার্থীর আরও কিছু জানার থাকলে আপিল করার পরামর্শ দেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। আজ যাচাই-বাছাইকালে জেপির একই আসনে দুই প্রার্থীর তথ্য উঠে আসে।