১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে শক্তি বাড়াতে চায় বিএনপি-জামায়াত
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করতে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজপথে আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে চায় বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারি বিরোধী দলগুলো।
১৭ ডিসেম্বরের আগেই ঘোষণা আসতে পারে বিএনপি-জামায়াতসহ সবদলের 'এক প্লাটফর্মের জোট' এর এবং নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা আসছে-এমন তথ্য দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপি-জামায়াত সূত্র জানায়, বিএনপির সাথে জামায়াতের আনুষ্ঠানিক জোট হয়ে গেছে। উভয় দল বিগত দিনের কিছু ভুল বুঝাবুঝি সমাধান করে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এছাড়া জানা গেছে, চরমোনাই পীরের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশকেও সাথে টানছে বিএনপি- জামায়াত।
বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন সিনিয়র নেতা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের সাথে জোটে আসলেই জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে।
এদিকে ৯ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘন-গুম-খুন ও ভোটাধিকারের দাবিতে প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি-জামায়াতপন্থি পেশাজীবা সংগঠন 'মায়ের ডাক' ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) মানববন্ধন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা জানান, আগামী রোববার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি মানববন্ধনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জামায়াতে ইসামির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম মাসুমও ঢাকাসহ সারাদেশে ১০ ডিসেম্বরও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ রুহুল কবির রিজভী বলেন, "এই সরকার ভাবছে সাজা দিয়ে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। কিন্তু বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো, চেষ্টা করেও কোনো দিন ধ্বংস করা যাবে না।"
বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, "ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।"
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, "ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম অভিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এছাড়া ফেনী সদর উপজেলাধীন ফাজিলপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক ভূঁইয়া, ফেনী পৌর ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক বিজয় ও মো. শিবলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।"