মাহিয়া মাহি’র বার্ষিক আয় ৮ লাখ টাকা
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি'র বার্ষিক আয় আট লাখ ২৫ হাজার টাকা।
সম্প্রতি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর তিনি এখন রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি তার ব্যবসা থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা, অভিনয় পেশা থেকে চার লাখ টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রায় এক লাখ টাকা বার্ষিক আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকঋণ থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন এ অভিনেত্রী।
হলফনামায় আরও জানানো হয়, তার কাছে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ দেড় লাখ। অন্যদিকে তার স্বামী মো. রকিব সরকার নগদ তিন লাখ টাকার মালিক।
মাহি ও তার স্বামী দুজনেরই গাড়ি রয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মাহি'র ৫৬ লাখ টাকা দামের একটি জিপগাড়ি রয়েছে। আর রকিব সরকারের টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়িটির দাম দেখানো হয়েছে ৮৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাহি ও রকিবের জমা অর্থ আছে যথাক্রমে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৮ টাকা এবং ২৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা।
হলফনামায় অভিনেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে বিবিএ (মার্কেটিং)।
এছাড়া মাহির নামে ২০২৩ সালে ২টি মামলা হয় বলে হলফনামার তথ্য থেকে জানা যায়। এর মধ্যে মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় খালাস দেওয়ার জন্য পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর তথ্যের অমিল থাকায় মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।
তিনি রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
তবে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় তার নাম ছিল না।
পরে তিনি রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার আসল নাম শারমিন আক্তার নিপা ব্যবহার করে ফরম সংগ্রহ করেন।
রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে এ আসনটি ধরে রেখেছেন।