অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।'
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের (বিএনপি) এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়। তারা ভোটে আসতে চায় না। কারণ, তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে। তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।'
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।'
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এ দেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশ যখন কভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।'
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।