জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ (১৮ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কাছে এক চিঠিতে কমিশন এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছে।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে কমিশন সম্ভাব্য সব ধরনের আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এতে বলা হয়, 'নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'
কমিশন আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার'-এর সহায়তায় ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় একটি শান্তিপূর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এ উদ্দেশ্যে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল পাঠানো যেতে পারে।'
রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে সমন্বয় করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা শহরের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।
এ বিষয়ে পরবর্তীসময়ে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দেন।
বঙ্গভবন থেকে এসে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিয়েছেন। তবে আলোচনা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোতায়েনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।'