লাদাখ নিয়ে মোদির সর্বদলীয় বৈঠক, যোগ দিচ্ছেন মমতা ও সোনিয়া
রাজনীতির মঞ্চে বিজেপি বিরোধী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যবধ্য হওয়ার চেষ্টা করছে ভারতের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল। সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে আজ শুক্রবার বিকেলে এ ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এসব রাজনৈতিক দলের প্রধানকে ফোন করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। বাদ দেওয়া হয়েছে শুধু দিল্লির আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বিহারের আরজেডি দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যারা; বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা, ভারতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, তৃনমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জি, শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকের এমকে স্টালিন, এআইডিএমকের কে পালানিস্বামী এবং ও পেন্নারসেলভাম, টিডিপির এন চন্দ্রবাবু নাইড়ু, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন মোহন রেড্ডি, এনসিডির শারদ পাওয়ার, জেডিইউ'য়ের নীতিশ কুমার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সিপিআই'য়ের ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, টিআরএস- এর কে চন্দ্রশেখর রাও, আকালি দলের সুখবীর বাদল, লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসওয়ান এবং ঝারখণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সরেন। খবর এনডিটিভির।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সহায়তা নিয়ে নাখোশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ বৈঠককে 'জাতীয় ঐক্য' প্রতিষ্ঠায় নেওয়া একটি সঠিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। দেশের সঙ্কটের মুহূর্ত বিবেচনা করে মমতা এই বৈঠকে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করে তার দল তৃনমূল কংগ্রেস।
তবে আম আদমি পার্টি এবং আরজেডি দল দুটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সর্বদলীয় এ বৈঠকের বাইরে রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে।