প্লাজমা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়া চিকিৎসকের প্রাণ গেল ‘ফুসফুস জটিলতায়’
চট্টগ্রামে প্লাজমা নিয়ে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া চিকিৎসক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু 'ফুসফুস জটিলতায়' মারা গেছেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে হাসপাতালটির জেনারেল ম্যানেজার মো. সেলিম নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সমিরুল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালে। তিনি অর্থোপেডিকের চিকিৎসক ছিলেন।
মো. সেলিম বলেন, চিকিৎসক সমিরুল ইসলাম প্রায় এক মাস ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৩১ মে করোনা পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো তার ফল নেগেটিভ আসে।
''কিন্তু তার 'ফুসফুসের ফাংশন' রিকভারি না করায় ওখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখান থেকে গত ১০ দিন আগে তাকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে আনাহয়। এখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি,'' যোগ করেন মো. সেলিম।
জানা যায়, ডা. সমিরুল ইসলাম চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী, যার ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে শুধু প্লাজমা থেরাপিই নয়, করোনার চিকিৎসায় আলোচিত সব পদ্ধতিই প্রয়োগ করা হয়েছে ওই চিকিৎসকের ক্ষেত্রে- এমনটাই জানিয়েছেন তার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চমেক মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, গত ৩১ মে ডা. সমিরুলের করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে।
''কিন্তু তার 'ফুসফুসের ফাংশন' নিয়ে ঝুঁকি ছিল। আমার জানা মতে, তার আর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়নি,'' যোগ করেন অনিরুদ্ধ ঘোষ।