মাশরাফি এখনই কেন বিসিবি সভাপতি হতে পারবেন না, জানালেন পাপন
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এতোদিন বিসিবি সভাপতির পদ সামলানো পাপনের দায়িত্ব এবার বেড়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। আগে প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী রাখলেও পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে পাপনকে। এই দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, যতো দ্রুত সম্ভব বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চান।
নতুন বিসিবি সভাপতি কে হতে পারেন, পাপন মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই আলোচনা। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চান, তার এমন মন্তব্যের পর আলোচনার গতি বেড়েছে। পদটিতে আসছে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম। কিন্তু পাপন জানিয়েছেন, এখনই বিসিবি সভাপতি হওয়া সম্ভব নয় মাশরাফির। কেন সম্ভব নয়, সেটাও পরিষ্কার করেছেন পাপন।
তিনি বলেন, 'প্রথমে তাকে কাউন্সিলরশিপ নিতে হবে। এরপর নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারাই ঠিক করবেন কে সভাপতি হবে। প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ। এখন ধরেন, ধরে নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে, খালি নতুন দুই-একজন জন এলো। এখানে সিনিয়রদের মধ্যে আছেন, সিরাজ ভাই, ববি ভাই, জালাল ইউনুস, মাহবুব-উল-আনাম। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যেও সিনিয়র যারা আছে, আকরাম খান, দুর্জয়, সুজন; অনেকেই আছে। তারা কাকে বেছে নেবে, এটা বলা কষ্ট। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগই নেই।'
'আমি যদি বোর্ডে না থাকি, তাহলে তো সাজেস্ট করার ব্যাপারই নেই। আর এটা এভাবে হয় না যে, আমি কাউকে সাজেস্ট করব। আমি যদি সাজেস্ট করি, এটা তো ইনফ্লুয়েন্স হয়ে গেল। এমন একজনকেই হতে হবে, যাকে সবাই মেনে নিচ্ছে। যদি বোর্ডের সবাই মেনে না নেয়, তাহলে বোর্ড চালাবে কীভাবে? এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, তখন যারা পরিচালক হবেন, তাদের সঙ্গে বসেই ঠিক করতে হবে।' যোগ করেন তিনি।
বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন ২০২৫ সালের অক্টোবরে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই মেয়াদ পর্যন্ত পাপনেরই বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা। মন্ত্রী হলেও বিসিবি সভাপতির পদে থাকতে আইনগত বাধা নেই। এরপরও দায়িত্ব ছাড়তে চান তিনি, এবং সেটা যথাযথ নিয়ম মেনেই।
বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেও ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন না জানিয়ে পাপন বলেন, 'আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে এক সঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে. ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি, তবু ক্রিকেট সব সময় আমার সঙ্গে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না।'
বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে পাপন বলেন, 'ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে, কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না, যে হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটিভিত্তিক। এ ছাড়া আমি এই টার্মে হতে চাইনি। ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু হয়েছি। আগে থেকেই বলেছি, এটাই আমার শেষ টার্ম। এখন যেহেতু একটা নতুন দায়িত্ব এসেছে, আমার মনে হয় এখন সরে যেতে পারলে ভালো।'