পশ্চিমবঙ্গে স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়লেন স্বামী
কিছুদিন আগেই ভারতের পাঞ্জাবে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন এক প্রেমিক। এবার পাঞ্জাবের ওই ঘটনার মতো পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গে। স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়লেন স্বামী।
পশ্চিমবঙ্গের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র জাল করে পরীক্ষা দিতে যান স্বামী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত মালদহের চাঁচল কলেজে।
জানা গেছে, প্রকৃত পরীক্ষার্থীর নাম পুষ্পা চৌধুরী। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ জেনারেলের পঞ্চম সেমিস্টারের বাংলা বিষয় পরীক্ষা ছিল। তবে ওই পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষা দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। তাই বছর নষ্টের আশঙ্কায় স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে যান তার স্বামী সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস।
স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রবেশপত্রে পুষ্পার নাম ও ছবি পরিবর্তন করে নিজের নাম ও ছবি বসান সিদ্ধান্ত। কিন্তু অ্যাটেন্ডেন্স শিট দেখতেই সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। অ্যাটেন্ডেন্স শিটে পুষ্পার নাম ছিল, কিন্তু প্রবেশপত্রে সিদ্ধার্থ শঙ্করের নাম দেখতেই সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের।
এরপর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণেই তিনি জালিয়াতির পথ বেছে নিয়েছেন। এই ঘটনার পরে কলেজের তরফ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরে পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, পুষ্পা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
উল্লেখ্য, ভারতে এরকম ঘটনা এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল পাঞ্জাবে। স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তার প্রেমিক অংরেজ সিং। তাকে দেখে যাতে সন্দেহ না হয়, সেজন্য একেবারে মেয়ে সেজে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ওই যুবক। এর জন্য তিনি চুরিদার, লিপস্টিক, টিপ পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন। প্রবেশপত্রও জালিয়াতি করেছিলেন। তবে আঙুলের ছাপ দিতে গিয়েই জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এবার প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গে।