বিজয়ের খুলনার তিনে তিন, সাকিবদের দ্বিতীয় হার
আগে ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখালেন দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের ব্যাটেই লড়াইয়ের পূঁজি মেলে খুলনা টাইগার্সের। পরে বল হাতেও দাপট দেখালেন খুলনার এই দুই বিদেশি। শানাকা ও নওয়াজের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের সামনে সুবিধা করতে পারলো না রংপুর রাইডার্স, লক্ষ্য দূরে থাকতেই গুটিয়ে গেল তাদের ইনিংস।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরকে ২৮ রানে হারিয়েছে খুলনা। এবারের বিপিএলে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে এনামুল হক বিজয়ের দল খুলনা টাইগার্স। তিন ম্যাচের সবকটিতেই জিতল তারা। সমান ম্যাচে দুটিতে হারের স্বাদ পেল নুরুল হাসান সোহান, সাকিব আল হাসানদের দল রংপুর।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা খুলনার বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হন। তিন বিদেশি এভিন লুইস, ম্যাচসেরা শানাকা ও নওয়াজের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৬১ রান তোলে খুলনা। দলটির এই তিনজনই কেবল দুই অঙ্কের রান করেন, বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। জবাবে শানাকা ও নওয়াজের বোলিং তোপের মুখে রংপুরের শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও মোহাম্মদ নবী ছাড়া কেউ-ই লড়তে পারেননি। তাদের চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। ১৮.৪ ওভারে ১৩২ রানে থামে রংপুর।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারানো রংপুর নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে গেছে। মাঝে কেবল লড়াই করেন শামীম ও নবী। ২২ বলে ৪টি চারে ৩০ রান করেন শামীম। ৩০ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নবী। এ ছাড়া রনি তালুকদার ১৫ ও শেখ মেহেদি হাসান ১২ রান করেন।
সিঙ্গাপুর থেকে চোখের চিকিৎসক দেখিয়ে ফেরা সাকিব এদিন আটে নেমে ৪ বলে ২ রান করেন। ৩ ওভারে ১৬ রান খচায় ৪টি উইকেট নেন লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকা। নওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট পান। একটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
এর আগে খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন নওয়াজ। ব্যাটে-বলে আলো কাড়া পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার ৩৪ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় তার ইনিংস সাজান। ৩৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রান করেন। ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস ২৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ করেন। রংপুরের হাসান মাহমুদ ৩টি ও শেখ মেহেদি ২টি উইকেট পান। একটি উইকেট নেন রিপন মন্ডল। ৪ ওভারে ২১ রান খরচা করা সাকিব উইকেট পাননি।