গাজায় ‘গণহত্যার প্রতিবাদে’ ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে শরীরে আগুন দিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে এক ব্যক্তি নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএস ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
রোববার ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
শহরের দমকল বিভাগ ইএমএস জানিয়েছে, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নিভিয়ে ফেলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মার্কিন বিমানবাহিনীর সক্রিয় সদস্য।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের পুলিশ জানিয়েছে, 'এনডব্লিউ-র ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভের ৩৫০০ ব্লকে বেলা ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই 'প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে' হাসপাতালে নেওয়া হয়; তিনি 'আশঙ্কাজনক অবস্থায়' আছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা ওই ব্যক্তি ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা এক ভিডিওতে বলেছেন, 'আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না।'
এরপর শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তিনি চিৎকার করে 'ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো' (ফ্রি প্যালেস্টাইন) বলতে থাকেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
এ ঘটনায় দূতাবাসের কোনো কর্মী আহত হননি বলে দূতাবাসের একজন মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে এবারই প্রথম কেউ নিজের গায়ে আগুন দেননি।
গত ডিসেম্বরেই একজন বিক্ষোভকারী জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভকারী পেট্রোল দিয়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার অকুস্থলে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা পাওয়া গিয়েছিল।
গত অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে একের পর এক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনপন্থী—দুই পক্ষই বিক্ষোভ করছে সেখানে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৫৩ জন ইসরায়েলিকে।
এরপর সেদিনই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলি। কয়েক মাসের ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।