আত্মগোপনে ছিলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার, অবশেষে গ্রেফতার
বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্মান্তিক লঞ্চডুবির ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্নস্থানে আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্ত ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার ও অন্যতম আসামি মো. আবুল বাসার। শেষ পর্যন্ত তার শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।
গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভয়াবহ এ লঞ্চডুবির ঘটনায় গত ৩০ জুন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। গত ৭ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের কর্মচারী আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ময়ূর -২ লঞ্চের মাস্টার বাসার এ মামলার দুই নম্বর আসামি। তিনি মাগুরার মোহম্মদপুর থানার মণ্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ১০ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দক হানিফ সোহাগকে রাজধানীর কলাবাগান থানার সোবাহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলেন মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান। তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি নিজ গ্রাম মাগুরাতে চলে যান এবং রাতের খাবার খেয়ে পাশের একটি গ্রামের একজনের বাড়িতে রাতযাপন করেন। পরের দিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা চলে যান। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের রোয়ালমারী থানার আখালিপাড়া তার ভায়রার বাড়িতে অবস্থান করেন।
সেখান থেকে বাসার ঢাকার দিকে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।