সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় নারী শামীমাও মারা গেলেন
ব্রেন ডেড রোগী সারা ইসলামের কিডনি গ্রহীতা শামীমা আক্তার মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মারা যান তিনি।
বিএসএমএমইউ এর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, "শামীমা শেষ ৬ মাস আমাদের তত্ত্বাবধায়নের বাইরে ছিল। সম্প্রতি তার ভাই জানায়, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে।"
৩ সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করানো হয়। শুরুর দিকে ভালো থাকলেও পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৪ দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আরও জানান, "শামীমার হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। একদিন বাইরের হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মারা যায় শামীমা।"
কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর ফলোআপ জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে সারাহ ইসলামের কিডনি দুই নারীর শরীরে ট্রান্সপ্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো 'ব্রেইন ডেড' মানুষের কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি দুরারোগ্য টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী সারাহ ইসলামকে ক্লিনিকালি-ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে এর আগে, নিজের দুই কিডনি ও দুই কর্ণিয়া দান করে যান সারাহ।
তাকে মৃত ঘোষণা করার পরের দিন ১৯ জানুয়ারি তার কিডনি অন্য দুইজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এর মধ্যে একজন ছিলেন শামীমা আক্তার। প্রতিস্থাপনের পর তিনি সুস্থ থাকলেও, সারাহর কিডনি নেওয়া আরেক রোগী হাসিনা আক্তার মারা যান ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এরপর গতরাতে মারা গেলেন শামীমাও।