বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ''বিএনপি কখনো বলেনি তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং আমরা বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে 'সাজানো, একতরফা, প্রহসন ও প্রতারণামূলক' নির্বাচনে অংশ নেবে না।''
বুধবার (৩ এপ্রিল) সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরার বাসায় দেখা করতে যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন বলেন, 'এবারের উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য হবে না। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই।'
তিনি বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিজেই স্বীকার করে যে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীককে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা ডুবিয়েছে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, 'আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণকে শাসন করায় বিশ্বাস করি না, তাদের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি।'
তিনি বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বিএনপির আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, 'বিএনপির সংগ্রামের ফল না পেলে ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করল কেন? আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য। আর বিএনপি রাজনীতি করছে মানুষের সেবা করার জন্য। আওয়ামী লীগ যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে, বিএনপি কখনো তা চিন্তাও করে না।'
বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ড. মঈন বলেন, 'তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তারা (জনগণ) প্রহসন, সাজানো ও একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করে তা বাস্তবায়ন করেছে।'
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ৫০ লাখ আসামির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। আমরা অল্প কিছু স্বৈরাচারী দেশকে চিনি, যেখানে বিরোধী দলের দমন বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।'