আদালতে সাহেদের নিজেকে করোনা-পজিটিভ দাবি
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে আদালতে বলেন, 'আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন। আমিও গত একমাস ধরে করোনায় ভুগছি'।' এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার প্রতিষ্ঠানই করোনা চিকিৎসায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে বলেও দাবি করেন সাহেদ।
এবছরের মার্চের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্স নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফি সোনালি ব্যাংকে জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোঃ সাহেদ ওরফে শাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এর আগে পুলিশ মোঃ সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।
মোঃ সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন তারা জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে।
তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, "আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক, তাই তারা পালিয়ে যাবে না। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করে আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেছিলাম"।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলী আবু আব্দুল্লাহ বলেন, 'অভিযুক্তরা করোনা ভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। এমনকি বিদেশ থেকেও এজন্য অনেককে ফেরত আসতে হয়েছে।' তাই তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুরের অনুরোধ করেছেন তারা।
এর আগে মোঃ সাহেদ ও মাসুদ পারভেজকে হাতকড়া পরিয়ে, কোমরে দড়ি দিয়ে ধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়।
এ সময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো।
মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র্যা ব। আদালত তারও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।