অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া রিজেন্টের সাহেদ খালাস পেলেন হাইকোর্টে
অস্ত্র মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় খালাস চেয়ে সাহেদের আপিল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে আইনজীবীরা জানান, এই মামলায় খালাস পেলেও আরও বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সহজেই খালাস পাচ্ছেন না সাহেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, এটি আসল অস্ত্র নয়। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলেন আদালত।
পরে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।