শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে রাহুলসহ অন্যান্য বিরোধী নেতাদের ‘ফিরিয়ে দেয়া হলো’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের ১১ জন নেতাকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দিল্লীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী দলীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শ্রীনগরে পৌঁছায়। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন জারি করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বলে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের শ্রীনগর সফর না করা উচিৎ, কারণ তারা অন্যান্য লোকদের এতে অসুবিধায় ফেলবে। এটি এমন এক সময় ‘যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলার ঘটনা থেকে রক্ষা করতে চাইছে’।
এনডিটিভির সংবাদে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, শ্রীনগর পরিদর্শনে বিরোধী দলের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে যে দলগুলো অংশ নিয়েছিল তারা হলেন, কংগ্রেস, সিপিআই (এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।
রাহুল গান্দীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলে আকাশ পথে কংগ্রেসের অপর দুই জ্যেষ্ঠ নেতা গোলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা গিয়েছিলেন।
জম্মু বিমানবন্দরে আজাদকে দুইবার বাধা দেয়া হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার বাধা দেয়া হয়। দুবারই তাকে ‘জোরপূর্বক’দিল্লী ফেরত পাঠানো হয়।
আজাদ বলেন, “আমরা সবাই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা। আমরা কোন আইন ভাঙ্গতে যাচ্ছিনা। জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ২০ দিন ধরে এটি অবরুদ্ধ রয়েছে। ২০ দিন ধরে সেখানকার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার যখন বলছে যে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, তবে কেন সেখানে নেতাদের যেতে দেয়া হচ্ছে না? এটা দ্বিমুখী আচরণ। যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে, তবে কেন আমাদের সেখানে যেতে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না?”
প্রতিনিধি দলটিতে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র ডি রাজা, ডিএমকে’র তিরুচি শিভা, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা ও তৃণমূল কংগ্রেসের দিনেশ ত্রিবেদী।
তারা রাজ্যের অন্যান্য স্থান সফরের পরিকল্পনা করেছে। এখন পর্যন্ত সরকার কোন রাজনীতিবিদকে ওই রাজ্যে ঢুকতে অনুমতি দেয়নি।
গভর্ণর সত্যপাল মালিক কেন্দ্রের পাঠানো একটি বিমানযোগে কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানানোর কয়েক সপ্তাহ পর তিনি সেখানে নামলেন।
প্রতিবেদন আরো জানায়, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ প্রায় ৪শ’রাজনীতিবিদকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থান এখনো অবরোধ করে রাখা হয়েছে।