ইউরিয়া আমদানি: ডলার বাঁচানোর পথে যেভাবে বাধা গ্যাস সংকট
আগে নির্মিত ৪টি বিশাল সার কারখানা, পঞ্চম একটি আনকোরা সর্বাধুনিক প্ল্যান্ট, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার সমান সার উৎপাদন করার সক্ষমতা — দেশের সার উৎপাদনের তত্ত্বাবধান করা সরকারি কর্পোরেশনটির এ সবকিছুই রয়েছে।
কিন্তু দিনশেষে সবকিছু নির্ভর করে একটি অদৃশ্য উপাদানের ওপর — গ্যাস। অথবা সেটির অভাবের ওপর।
বিশ্বব্যাপী মূল্যে অস্থিতিশীলতা এবং সরবরাহে বিঘ্ন যাতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে ব্যাহত না করে তা নিশ্চিত করতে ইউরিয়া আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে গত বছরের নভেম্বরে নরসিংদীতে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা হয়।
কিন্তু সার কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাসের রেশনিং তা হতে দেয়নি। গ্যাসের স্বল্প সরবরাহ দিয়ে নতুন কারখানা চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে বিসিআইসিকে। ফলে বাকি ৪টি কারখানা নিষ্ক্রিয় পড়ে রয়েছে।
গুরুতর আর্থিক চাপ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এসব কারখানা পরিচালনা করে। সংস্থাটি এখন চরম আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এটি পেট্রোবাংলার বকেয়া গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারছে না এবং নতুন কারখানার জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধে টাকা ধার করেছে।
বিসিআইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের নতুন কারখানার ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন বাকি চারটি কারখানার প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন সক্ষমতার সঙ্গে যোগ হবে — যা দেশের সারের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
তারা বলছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫টি ইউরিয়া প্ল্যান্ট চালু থাকলে দেশের বার্ষিক ইউরিয়া আমদানিতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতে পারত। একইসঙ্গে মহামারি বা যুদ্ধের মতো যেকোনো ধরনের বৈশ্বিক ধাক্কার সময় সরবরাহের অনিশ্চয়তা দূর হতো।
দুই বছর আগের তুলনায় পেট্রোবাংলা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দেওয়ার পর বিসিআইসি এখন কোনোক্রমে সচল থাকার চেষ্টা করছে।
বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, স্বল্প গ্যাস সরবরাহ দিয়ে তারা কেবল ঘোড়াশাল-পলাশ কারখানা পরিচালনা করতে পারবেন। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে।
নতুন কারখানা অপ্রয়োজনীয়?
বর্ধিত উৎপাদন সক্ষমতা নিষ্ক্রিয় রাখার অর্থ হলো বাংলাদেশকে ইউরিয়া আমদানির ওপর অব্যাহতভাবে নির্ভর করতে হবে। ফলে বিদেশি ঋণে নির্মিত নতুন এ কারখানা প্রায় অপ্রয়োজনীয় হিসেবে রয়ে যাবে।
বিসিআইসি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত এটির সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন প্ল্যান্টের বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে অর্থ ধার করেছে।
বিসিআইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এখন প্রতিদিন মাত্র ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন, যা ২০২২ সালে চারটি কারখানার জন্য পাওয়া ২৫০ এমএমসিএফডি থেকে কম। নতুন কারখানা যুক্ত হওয়ার পর বকেয়া বিলের কারণে পেট্রোবাংলা গ্যাস সরবরাহ ৭১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাওয়া পেট্রোবাংলা বিপুল পরিমাণে বকেয়া বিলের কারণে বিসিআইসি-তে গ্যাস সরবরাহ সীমিত করতে বাধ্য করেছে। ফলে বিসিআইসি এটির ৪টি পুরানো কারখানা — যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডকে চালু রাখতে পারছে না।
'আগামী অর্থবছরে ঘোড়াশাল-পলাশ ছাড়া বাকি কারখানায় গ্যাস সরবরাহের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। এসব সার কারখানার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস বিল বকেয়া আছে,' টিবিএসকে বলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
চাহিদা ২৭ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন ১০ লাখ
গ্যাস সরবরাহ সংকটের কারণে ২৭ লাখ মেট্রিক টন অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সার কারখানাগুলোয় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
৪টি ইউরিয়া প্লান্ট উৎপাদনের বাইরে থাকলে আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি মেটাতে হবে। ২০২২–২৩ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, বিসিআইসিকে ওই অর্থবছরে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে ১৫ দশমিক ৪০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করতে হয়েছিল।
গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ইউরিয়া আমদানি এড়ানো যাবে এবং দেশের ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তি চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তাছাড়া তারা হিসেব করে দেখেছেন, স্থানীয় কারখানাগুলো আমদানিকৃত কারখানার তুলনায় কম খরচে ইউরিয়া উৎপাদন করে। প্রতি টন ৬৫ হাজার ৪৯০ টাকা ব্যয়ে এ সারের মোট আমদানি ব্যয় ১০ হাজার ৮৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তবে ইউরিয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা গেলে গ্যাসের আগের দাম অনুযায়ী খরচ হতো ছয় হাজার ৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
উচ্চমূল্যের পণ্যের জন্য কম দাম পরিশোধ সরকারের
গ্যাসের বর্ধিত মূল্যে খরচ হিসেব করলেও উৎপাদন খরচ আমদানি ব্যয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হতো বলে দাবি কর্মকর্তাদের।
পেট্রোবাংলা ২০২২ সালের জুন মাসে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি চার টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করেছিল। কিন্তু সরকারি কাগজপত্রের তথ্য অনুসারে, বিসিআইসি অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করেনি, যার ফলে এটির গ্যাস বিল বকেয়া আড়াই হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান টিবিএসকে বলেন, 'যদি আমাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা থাকে, তাহলে অবশ্যই গ্যাস সরবরাহ এবং আমদানি বন্ধ করে সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।'
এ অর্থনীতিবিদ কিছু প্রশ্নও তুলেছেন। 'সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা আমাদের চাহিদার বেশিরভাগই আমদানি করি, তাহলে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন কারখানাটি কেন বানালাম?'
পেট্রোবাংলা অনমনীয়, বিসিআইসি বিপাকে
শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি কারখানার ন্যূনতম উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু গ্যাস সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি বিসিআইসিকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। বিসিআইসি চেয়ারম্যান বলেন, 'আমাদের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহারযোগ্য ইউরিয়া সারের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।'
'নতুন কারখানা চালু হওয়া সত্ত্বেও আসন্ন অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে ১০ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে,' তিনি টিবিএসকে বলেন।
বিসিআইসি কর্মকর্তারা জানান, সার কারখানাগুলোতে ২৫০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করার সময় পেট্রোবাংলার গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ২,৩০০–২,৪০০ এমএমসিএফডি। তারা বলছেন, উৎপাদন সক্ষমতা ৩,১০০ এমএমসিএফডি-এর বেশি হওয়া সত্ত্বেও সংস্থাটি বিসিআইসি-তে গ্যাস সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।
চলতি অর্থবছরে ঘোড়াশাল-পলাশ কারখানায় গ্যাস প্রয়োজন না থাকায় সারাবছর বিরতিহীনভাবে দুটি কারখানা চালু ছিল বলে জানান কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ঘোড়াশাল-পলাশে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ার পর গত শীতকালে — যখন অন্যান্য খাতে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা কমে গিয়েছিল — তখন পেট্রোবাংলা সবগুলো কারখানায় গড়ে মাত্র দুই থেকে আড়াই মাস গ্যাস সরবরাহ করেছিল।
আট থেকে ৪৩ বছরের পুরোনো ৪টি ইউরিয়া কারখানা এখন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে থাকলেও সেগুলোর এক হাজারেরও বেশি কর্মচারীকে বেতন দিতে হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। এসবের জন্য বিসিআইসিকে মাসে ১২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চার পুরোনো কারখানার একটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিবিএসকে বলেন, 'কারখানাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই বন্ধ থাকার সময়ের পরিমাণ বাড়ছে। ইতোমধ্যে ওভারটাইমসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'
আট বছরের পুরনো এবং সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা শাহজালাল সার কারখানায় অন্ততপক্ষে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে এটি পাঁচ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন করতে পারবে যা আমদানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টির জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এটিতে সহজে গ্যাস সরবরাহের সুবিধাও রয়েছে।
দৈনিক ৪২ লাখ টাকা সুদ দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিসিআইসি
বিসিআইসি কর্মকর্তাদের যুক্তি, তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে সরকারের কাছে সার বিক্রি করেন। গ্যাসের দাম বাড়ার আগে বিসিআইসি এটির কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ২৫ হাজার টাকায় সরকারের কাছে বিক্রি করত, যা উৎপাদন খরচের চেয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা কম ছিল।
এখন পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম প্রায় চারগুণ বাড়িয়েছে, যার ফলে তাদের উৎপাদন খরচ ৩৯ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতি মেট্রিক টনে এ ব্যবধান ১৪ হাজার টাকা হয়েছে বলে জানান তারা।
কিন্তু সরকার দাম একই রেখেছে। এতে বিসিআইসি পেট্রোবাংলার অতিরিক্ত গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারছে না এবং চীন ও জাপানি ঋণদাতাদের কাছ থেকে নেওয়া ১০ হাজার ৪৯২ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রায় নির্মিত নতুন ইউরিয়া প্ল্যান্টের কিস্তি পরিশোধের জন্য সরকারের সার আমদানি ভর্তুকি তহবিল থেকে এক হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ধার নিতে বাধ্য হয়েছে।
বিসিআইসি'র নিজস্ব রেভিনিউ থেকে ঋণ পরিশোধ করার কথা থাকলেও গ্যাস সরবরাহ অনিশ্চয়তার কারণে প্ল্যান্টটি পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই কিস্তির মেয়াদ শুরু হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি এখন বিদেশি ঋণের প্রথম তিন কিস্তির জন্য নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ প্রতিদিন ৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, দুটি কিস্তি ইতোমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে, তৃতীয়টি আগামী ২১ মে'র মধ্যে দিতে হবে।
ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক অবশ্য টেকসই উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ইউরিয়া বিক্রির আয় থেকে বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিসিআইসির আর্থিক বোঝা কমানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। তারা ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারের কৃষি ভর্তুকি তহবিল ব্যবহারের আশ্বাসের ওপর ভরসা করছেন।
সরকার উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারের দাম বাড়ালে এ সংকট এড়ানো সম্ভব বলে মনে করে বিসিআইসি।
বিপত্তারণে ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড
অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেছেন, বিদ্যুৎ এবং সার ভর্তুকির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে যুক্ত ২৪টি ব্যাংকে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। বাকিগুলো ধাপে ধাপে ছাড়া হবে।
সরকারি-বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের চেষ্টা চলছে। এ উদ্ধারকৃত বকেয়া আংশিকভাবে ভর্তুকি তহবিলের অর্থায়ন করবে।
'বিদ্যুৎ খাতে ২০২২–২৩ অর্থবছরের ভর্তুকি অপরিশোধিত রয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের ভর্তুকি প্রক্রিয়াকরণের জন্য আরও সময় প্রয়োজন,' বলেন ওই কর্মকর্তা।