এমপি আজীম হত্যা মামলার আসামি সিয়াম নেপালে গ্রেপ্তার: ডিবি
ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলার আসামি মো. সিয়াম হোসেন নেপালে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে নেপাল থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এ কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, 'সিয়াম নেপালে গ্রেপ্তার আছে। হত্যার পর থেকে সেখানে আত্মগোপনে ছিল সে। তাকে ভারতীয় পুলিশও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিতে চায়। তবে তাকে কোন দেশের (বাংলাদেশ নাকি ভারত) কাছে হস্তান্তর করা হবে নেপাল পুলিশ সে সিদ্ধান্ত নেবে।'
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এই মাসের শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কাঠমান্ডু পুলিশ সিয়াম হোসেনকে আটক করার পর ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল ১ জুন নেপালে যান।
এই মামলার অপর আসামি শিলাস্তি রহমান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এমপি আজীমকে হত্যার পর তার হাড় ও মাথার খুলি নষ্ট করার দায়িত্বে ছিল সিয়াম। সে এমপি আজীমের লাশ টুকরো টুকরো করতেও সহায়তা করে।
গত ৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিলাস্তি বলেন, 'এমপি আজীমের হাড়গুলো একটি খালে ফেলে দেয় সিয়াম। এরপর সে এমপির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে তার ফোন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এ কারণেই আজিমের ফোনটি ১৬ মে পর্যন্ত সক্রিয় পাওয়া গেছে।'
শিলাস্তি আরও বলেন,'আজিমের ফোন থেকে বিভিন্ন নম্বরে বেশ কয়েকটি টেক্সট ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল। ম্যাসেজে বলা হয়েছিল যে তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন এবং সেখানে ভিআইপিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'সিয়াম নেপাল হয়ে ভারতে গিয়েছিল এবং এমপি আজীমকে হত্যা করার পর ফের নেপালে ফিরে গিয়েছিল।'
এমপি আজীম হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া- তিনজন ডিবির হেফাজতে, জিহাদ হাওলাদার কলকাতা পুলিশের হেফাজতে এবং সিয়াম নেপাল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এই মামলার অপর আসামি আখতারুজ্জামান শাহিন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রোববার সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত।