ক্রয়, সরবরাহ ও সেবা খাতে উৎসে কর কর্তন না করার অভিযোগ, চট্টগ্রামে দুই ক্লাব থেকে ১৫ লাখ টাকা কর আদায়
আয়কর আইন অনুযায়ী ক্রয়, সরবরাহ ও সেবা খাতে উৎসে কর কর্তন না করার অভিযোগে চট্টগ্রাম ক্লাব এবং চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাবে অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা আয়কর আদায় করেছে চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ।
বুধবার (৫ জুন ) চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর দুইটি বিশেষ টাস্কফোর্স টিম বন্দরনগরীর অভিজাত চট্টগ্রাম ক্লাব এবং চট্টগ্রাম সিনিয়র'স ক্লাব এ অভিযান পরিচালনা করে।
একই সময়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযানে ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবের খাতা, কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্যাবলি এবং বিভিন্ন বিল ও খরচের বিপরীতে উৎসে কর কর্তনের প্রমাণাদি পরীক্ষা করা হয়।
অভিযানকালে তিন অর্থ বছরের আয়কর প্রদানের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। কর বিভাগ বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য কিছু তথ্য-উপাত্ত জব্দ করে।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল ৩ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে আয়কর বিভাগ চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত কর কমিশনার, যুগ্ম কর কমিশনার, উপ কর কমিশনার এবং কর পরিদর্শকদের সমন্বয়ে গঠিত দুইটি বিশেষ টাস্কফোর্স টিম অংশগ্রহণ করে।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল ৩ এর কমিশনার মো. আব্দুস সোবহান বলেন, ক্লাব দুটি কি পরিমাণ আয়কর পরিশোধ করেনি তা ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম ক্লাব ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাব ৫ লাখ আয়কর বাবদ পে অর্ডারের মাধ্যমে মাধ্যমে পরিশোধ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে 'চট্টগ্রাম ক্লাব'- এর পক্ষে চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এ.এস.এম সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং 'চট্টগ্রাম সিনিয়র'স ক্লাব' এর পক্ষে চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার জনাব অমিত দাস ৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার টাস্কফোর্স টিমের নিকট জমা দেন।
উল্লেখ্য, আয়কর আইন ২০২৩- এর ১৪৭ ধারার অধীনে উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ নিশ্চিতকরণ ও যাচাইকরণ কার্যক্রমে কোন প্রকার বাধা বা অসহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।