শেষ মুহূর্তের গোলে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারাল পর্তুগাল
চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ম্যাচ ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় আক্রমণে ছিল পর্তুগাল। বল ভেসে আসল চেক বক্সে, লাফিয়ে ওঠে হেড করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার দারুণ হেড পোস্টে লেগে ফিরে এসে পড়ল সতীর্থ দিয়োগো জোতার কাছে। লিভারপুল ফরোয়ার্ডও ভুল করলেন না। বল ঠেলে দিলেন জালে। পর্তুগাল এগিয়ে গেল ২-১ গোলে।
কিন্তু পর্তুগালের গোল উদযাপন বেশিক্ষণ টেকেনি। কারণ গোল যে বাতিল হয়ে গেছে অফসাইডে। আর অফসাইডে ছিলেন রোনালদো, হেড করতে লাফিয়ে ওঠার আগেই অফসাইড পজিশনে ছিলেন সিআর সেভেন। তাই জোটা গোল করলেও তা বাতিল হয়ে যায় ভিএআরের সিদ্ধান্তে।
পর্তুগালকে রোনালদোর এই অফসাইডের মূল্য দিতে হত ম্যাচ ড্র করে যদি না যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি উপহার পেত তারা। উপহারই বটে, পেদ্রো নেতোর করা নিচু ক্রস চেক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারলেন না, আর সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে বল জালে জড়ান বদলি নামা কনসেইসাও। পর্তুগালও হাফ ছেড়ে বাঁচে।
কনসেইসাওয়ের যোগ করা সময়ের গোলে ইউরোতে জয় দিয়ে নিজেদের মিশন শুরু করেছে পর্তুগাল। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিটরা চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জিতেছে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হলেও পর্তুগালই দাপট দেখিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও একই ধারায় চলতে থাকে ম্যাচ।
কিন্তু ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় চেক প্রজাতন্ত্র। ৬২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে প্রভোদের দুর্দান্ত শট জালে জড়ায়। পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি। যদিও ৭ মিনিট পরই সমতায় ফেরে পর্তুগিজরা। বক্সের মধ্যে নুনো মেন্ডেজের হেড সরিয়ে দেন চেক গোলরক্ষক। যা তাদেরই ডিফেন্ডার হ্রানাকের গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে।
এরপর জয়সূচক গোলের জন্য হন্য হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে পর্তুগাল। ৮৫ মিনিটে গোল পেয়েও যায় তারা। কিন্তু ওই যে, রোনালদো ছিলেন অফসাইডে! এরপর ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ার পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু চেক প্রজাতন্ত্রের রক্ষণভাগই এদিন ত্রাতা হয়ে আসে পর্তুগালের জন্য। নয়তো আত্মঘাতী গোলের পর ক্লিয়ার করতে গিয়ে ওমন ভুল, ভাগ্য ছিল রোনালদোদেরই সহায়৷
এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জর্জিয়াকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে তুরস্ক। তাই পর্তুগাল জিতলেও গোল ব্যবধানে শীর্ষে তুর্কিরাই। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ জুন মুখোমুখি হবে এই দুই দল।