ইন্টারনেট স্পিডের নতুন বিশ্বরেকর্ড জাপানের গবেষকদের, সেকেন্ডে ১২,৫০০ মুভি ডাউনলোড করা যাবে
বাণিজ্যিকভাবে প্রাপ্ত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিডের (ডাটা ট্রান্সমিশন) নতুন রেকর্ড গড়েছেন জাপানের একদল গবেষক।
জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অভ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) একদল গবেষক সেকেন্ডে ৪০২ টেরাবিট (টিবিপিএস) গতিতে ডাটা ট্রান্সমিশন করেছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতির চেয়ে ১৬ লক্ষগুণ বেশি।
এনআইসিটির ফোটনিক নেটওয়ার্ক ল্যাবরেটরির তদারকিতে গবেষণাদলটি সব ধরনের মানসম্মত অপটিক্যাল ফাইবারের ট্রান্সমিশন ব্যান্ডের সমন্বয়ে একটি সিস্টেম গড়ার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জন করেছে। পাশাপাশি আরও কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এনআইসিটি বলেছে, আগে অব্যবহৃত থেকে যাওয়া ওয়েভলেংথ অঞ্চল ব্যবহারের নতুন পদ্ধতিটি ভবিষ্যতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে কাজে লাগানো যেতে পারে।
কাজটির সারাংশে এনআইসিটি বলেছে, আশা করা যায়, নতুন তৈরি করা প্রযুক্তিটি অপটিক্যাল যোগাযোগ অবকাঠামোর যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কেননা ডাটা সার্ভিসের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই।
২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল ২৪৮.২৭ এমবিপিএস, আপলোডের গতি ছিল ৩৪.২৩ এমবিপিএস। আর অফকম-এর তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের গৃহে সংযোগ দেওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল ৬৯.৩ এমবিপিএস।
জাপানি দলের ডাটা ট্রান্সমিশনের গতিকে—৪০২ টিবিপিএস—রীতিমতো 'আলোর গতি' বলা চলে। এ স্পিডে সেকেন্ডে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মুভি ডাউনলোড করা যাবে—যা বর্তমানে নেটফ্লিক্সে থাকা মোট মুভির চেয়ে তিনগুণ বেশি।
তবে ইন্টারনেটের নতুন এই গতির পরীক্ষাটি করা হয়েছে গবেষণাগারে। বাস্তব দুনিয়ায় এর সামান্য অংশও কার্যকর করার জন্য আরও গবেষণা করতে হবে।