মৃত্যুর সময় মাইকেল জ্যাকসনের ঋণ ছিল ৫০০ মিলিয়ন ডলার
২০০৯ সালে মারা যাওয়ার সময় ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণে ছিলেন 'কিং অব পপ' খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের নথি এবং পিপল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জ্যাকসনের মৃত্যুর সময় ৬৫ জনেরও বেশি পাওনাদারের পাওনা ছিল। এর মধ্যে এ.ই.জি. নামে একটি ট্যুর প্রোমোটার প্রতিষ্ঠানের পাওনা প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পাওনাদারদের মধ্যে কেউ কেউ আইনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। উচ্চ সুদের হারের কারণে ক্রমেই তার ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছিল।
জন ব্র্যাঙ্কা এবং জন ম্যাকক্লেইন পরিচালিত মাইকেল জ্যাকসনের এস্টেটের একজন মুখপাত্রের কাছে মন্তব্যের জন্য জিজ্ঞাসা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি।
২০১৮ সালের শেষার্ধে বিভিন্ন ল' ফার্মকে মামলা পরিচালনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৩৫ লাখ ডলার পরিশোধের অনুমতি চেয়ে আদালতের কাগজপত্র জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এস্টেটের পরিচালকদের দাবি, তারা সফলভাবে এই মামলাগুলোর অধিকাংশই নিষ্পত্তি বা খারিজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
মাইকেল জ্যাকসন ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে তার অত্যন্ত সফল অ্যালবাম এবং কনসার্ট ট্যুরের মাধ্যমে শত শত মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে, তিনি ৪৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে বিটলসের গানের ক্যাটালগটি কিনেছিলেন এবং পরে এটি সনির কাছে তাদের সংস্থার ৫০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে বিক্রি করেছিলেন। ২০১৬ সালে, সনি এই শেয়ারটি ৭৫০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়।
মাইকেল জ্যাকসন তার অমিতব্যয়ী জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং অবাধে অর্থ ব্যয় করতেন। তিনি তার বেশির ভাগ টাকা খরচ করতেন দান, উপহার, বেড়ানো, ব্যক্তিগত বিমান আসবাবপত্র চিত্রকর্ম ও জুয়েলারির পেছনে। বেহিসাবি টাকা খরচের কারণে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি।
২০১৩ সালে, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন একজন ফরেনসিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট জানান, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জ্যাকসনকে ঋণ বাবদ বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হতো।
এছাড়াও, ট্যাক্স অডিটের পরে জ্যাকসনের সাথে এখন আইআরএসের সাথে মামলা চলমান। আইআরএসের দাবি—এস্টেট, জ্যাকসনের মোট সম্পদের মূল্য কম দেখিয়েছে এবং এজন্য কর এবং জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত ৭০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা তাদের।