‘এটি নিশ্চিতভাবেই আমার শেষ ইউরো’
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মনে করা হয়ে থাকে দৃঢ় মানসিকতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হারের পর টানেলে রোনালদোর কান্না মন ছুঁয়েছিল সবার। কিন্তু ইউরোর শেষ ষোলোয় পেনাল্টি মিস করে ম্যাচ চলাকালীন সময়েই সিআর সেভেনের কান্না হয়েছে উলটো হাসির খোরাক।
ম্যাচের ঘড়ির কাটায় তখন ১০৪ মিনিট। রোনালদো গোল করলেই পর্তুগালের জয় নিশ্চিতই বলা চলে। সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ইয়ান ওবলাক, যার বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারে আট গোল ও দুটো হ্যাটট্রিক আছে সিআর সেভেনের।
কিন্তু এবার ওবলাক জিতে গেলেন, ঠিক জায়গায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন রোনালদোর শট। আর মিস করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এমন দৃশ্য এর আগে কখনও দেখা গেছে কিনা সেটি একটি গবেষণার বিষয় বটে।
পরে অবশ্য টাইব্রেকারে গোলকিপার দিয়োগো কস্তার বীরত্বে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। টাইব্রেকারে গোল পাওয়া রোনালদোকে এরপর পড়তে হয়েছে আরেক বিড়ম্বনায়। তার কান্না যে হাসির খোরাক হয়েছে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
তবে এতকিছুর মাঝেও একটি সত্য মেনে নিয়েছেন রোনালদো। ইউরো শুরুর আগেই কানাঘুষা চলছিল যে এটিই সিআর সেভেনের শেষ ইউরো হতে পারে। কারণ পরের ইউরো শুরুর সময় রোনালদোর বয়স হবে ৪৩। এবার পর্তুগিজ মহাতারকা নিজেই নিশ্চিত করেছেন, এটিই তার শেষ ইউরো।
তাহলে মাঠে দাঁড়িয়ে কান্নার কারণ কী এটিই? রোনালদো বলেছেন, 'এটি নিশ্চিতভাবেই আমার শেষ ইউরো। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদিনি। আমি কেঁদেছি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবকিছুর জন্য। আমার খেলাটির প্রতি ভালোবাসা, আমার সমর্থকরা, আমার পরিবার- সবকিছু ভেবে।'
রোনালদো যোগ করেছেন, 'আমি ফুটবল ছেড়ে দিবো এজন্য খারাপ লাগছে না। আমি খেলা ছেড়ে দিলে এরপর আর কী করার বা জেতার আছে? মানুষকে খুশি করাই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।'
নিজের পেনাল্টি মিস নিয়েও কথা বলেছেন সিআর সেভেন, 'আমার সামনে সুযোগ ছিল পর্তুগালকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু ওবলাক দারুণ একটি সেইভ করেছে। আমি জানি না আমার শট ভালো বা খারাপ ছিল কিনা, কিন্তু আমি এর আগে কখনও মিস করিনি। যখন সবচেয়ে বেশি দরকার পড়ল, তখনই আর পারলাম না।'