ইদ্দতের মামলার সাজা থেকেও অব্যাহতি পেলেন ইমরান খান ও স্ত্রী বুশরা বিবি
ইদ্দত মামলায় দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
আজ শনিবার (১৩ জুলাই) ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত এই রায় দেন।
পার্লামেন্টে ইমরান খানের দল- পাকিস্তান তেহরিক -ই- ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য – দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এ রায় দেওয়ার একদিন পরেই বিচারিক আদালত এ রায় দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষাপটে, ক্ষমতাসীন জোট সরকারের চেয়েও বেশি আসন পার্লামেন্টে পেতে চলেছে এসআইসি। এতে ইমরান-বিরোধী দুর্বল জোট সরকারের ওপর চাপও বাড়বে।
শনিবার সাজামুক্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন ইমরানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা। সামাজিক মাধ্যম 'এক্স' (সাবেক টুইটার) এ দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেন, "ইমরান খান ও বিবি সাহিবাকে (সাজা থেকে) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।"
পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৭১ বছরের ইমরান খানকে জেলে রাখার মতো আর কোনো মামলার আইনি বাধা নেই।
তবে শনিবার আদালতের এই রায়ের পরেও ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে কারামুক্তি দেওয়া হবে কিনা– সেবিষয়ে এপর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
মোট চারটি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইমরান খানকে। এরমধ্যে একটি ছিল ইদ্দতকাল পার হওয়ার আগেই বর্তমান স্ত্রীর সাথে বিয়ে করে শরিয়া আইন ভঙ্গের অভিযোগে। আগের তিনটি মামলায় সাজা থেকে ইতঃপূর্বে তিনি অব্যাহতি পান অথবা এসব রায় বাতিল করা হয়। জেলে ছিলেন কেবল ইদ্দতের মামলায়।
আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর ইদ্দতের সময় পূর্ণ না করে শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার দায়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বসানো একটি অস্থায়ী আদালত।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন, বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় পার (ইদ্দত) না হতেই ইমরান খানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি, যা স্পষ্টতই শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন।