খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ নিহত, আহত হয়ে হাসপাতালে অন্তত ১৮ শিক্ষার্থী
খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জেরে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। তার নাম সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায়।
নিহত পুলিশ কনস্টেবল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার সৌমেনের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপির কমিশনার মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়ে অন্তত ১৮ শিক্ষার্থীসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
আর পুলিশ সদস্যদের নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহাগ, রাজু আহমেদ।
খুলনায় আজ বিকেলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর গল্লামারী মোড়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত টিয়ারশেল নিক্ষেপ চলছিল। গল্লামারী মোড়ে বিপুল পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অবস্থান শুরু করেন। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
পরে শিক্ষার্থীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে শুরু করেন।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এখনো পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।