সাংবাদিকদের হাসপাতালে প্রবেশে অনুমতি না থাকায় ক্ষমা চাইলেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খোরশেদ আলম বলেছেন, 'রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ছয় বছর ধরে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না- এমন অভিযোগ প্রথম শুনলাম। এ জন্য যদি আমি দায়ী হয়ে থাকি- তাহলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে আমি দুঃখিত এবং ক্ষমা চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'মিডিয়াকে দূরে রেখে কোনো কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। দেশের মিডিয়া অনেক শক্তিশালী মাধ্যম। সাংবাদিকরা সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন তুলে না ধরলে জনগণ জানবে না। আমরা যতই তুলে ধরি না কেন, তা জনগণ বিশ্বাস করবে না।'
'আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অনুরোধ করব, আপনি মিডিয়ার সঙ্গে থাকুন। তাদের কাজ করতে সহযোগিতা করুন। আপনাকে অনুরোধ করে গেলাম, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন', যোগ করেন তিনি।
রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, 'রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা রোগের চিকিৎসায় ভালো কাজ করছে। ঢাকার অনেক হাসপাতালের চেয়ে এখানকার ব্যবস্থাপনা ভালো। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা এবং অপারেশন আগের চেয়ে একটু কমলেও বেশ ভালো হয়েছে।'
করোনার টিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'করোনার টিকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেবেন। তবে টিকা আবিস্কার হলে বাংলাদেশ যাতে সাথে সাথে পেতে পারে, সে হোমওয়ার্ক আমরা করছি। টিকা আবিস্কার হলে আমরাও পাব।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়া, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান প্রমুখ।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর স্বজনকে একদল ইন্টার্ন পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় সাংবাদিকরা ওই স্বজনের ছবি তুলতে গেলে ইন্টার্নরা দলবেঁধে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন। এরপর থেকে কয়েকবার নোটিশ ঝুলিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।