চট্টগ্রামে একের পর এক গুলিবিদ্ধদের আনা হচ্ছে হাসপাতালে
একের পর এক গুলিবিদ্ধদের আনা হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। হাসপাতালে থাকা টিবিএস প্রতিবেদক জানান, দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৪ জন আহত রোগীর তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার মো. তসলিম উদ্দিন। তবে বিকেল ৩টা নাগাদ তা ৮০ ছাড়িয়ে গেছে।
আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। এরমধ্যে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সাথে পথচারীও রয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্টের যুব সদস্য তাহমিদ উদ্দিন বলেন, আহতদের উদ্ধারে চট্টগ্রামে তাদের ৩০ জনের টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত তারা পাঁচ জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
চমেক ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউতে দুই ছাত্রীসহ আরও ৬ জন আহত ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া পটিয়াতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
আজ সকাল ১০ টা থেকে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিউ মার্কেট মোড়ে অবস্থান নিলেও বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সিটি কলেজ এলাকা থেকে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এই সময় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে নিউমার্কেট ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের আশপাশে অবস্থান নেন। সেখানেও পুলিশ তাদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
টিবিএস'র হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সিটি কলেজ রোডের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অফিসের পেছন থেকে গুলি ছুড়ছে হেলমেট পরা এক লোক। তার পাশে থাকা আরেকজনকে ককটেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ২ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতায় কারফিউ'র সিদ্ধান্ত এলে ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন থাকবে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।