কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়নি: সাংবাদিকতার স্বাধীনতার কথা পুনর্ব্যক্ত করল সরকার
দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি বলে স্পষ্ট করেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সরকারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, 'সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।'
গতকাল সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক শম্পা রহমানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অপসারণ করা হয়। তাকে সরিয়ে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে শম্পা রহমানকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আহমেদ জোবায়েদ টিবিএসকে বলেন, এ রিটের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তাদেরকে না জানিয়ে রিট করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে যাবেন তারা।
গতকাল এ আদেশের পর কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করল অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের কথা ভাবছেন।
প্রাথমিক এ ভাবনার বিষয়ে পরবর্তী উদ্যোগ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে বসা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া গণমাধ্যমের জন্য হুমকি হতে পারে এমন বিতর্কিত বিভিন্ন আইন 'পুনর্বিবেচনা' করার সম্ভাবনার কথাও জানান এ উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য গত ১১ আগস্ট সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যম 'চাটুকারিতা করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে' বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'আগে যা হয়েছে — নতুন করে কাউকে চাটুকারিতা করতে দেওয়া হবে না। মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করবে। এরপরও যারা চাটুকারিতা করবে, সে-সব মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে।'
অবশ্য পরে এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ওই মন্তব্যটি তিনি রাগের মাথায় করেছেন।
সে সময় এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। পরে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের অংশ হিসেবে তাকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভার দেওয়া হয়।