দিনাজপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলা: গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা আনা হলো
দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টারে করে তাকে রংপুর থেকে ঢাকায় এনে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম। সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। উভয়ের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে হাতুরি কিংবা ভারি কোনো বস্তু দিয়ে তাদেরকে আঘাত করা হয়েছে।
জানা যায়, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী প্রতিদিন ভোরে হাঁটতে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বের না হওয়ায় তার হাঁটার সঙ্গীরা খোঁজ নিতে তার বাড়িতে যান। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ইউএনও ও তার বাবাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ সময় বাড়ির প্রহরীকে একটি ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
এখন পর্যন্ত বাড়ির কোনো কিছু খোয়া গেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
হামলার বিষয়টি জানার পরপরই দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনও বিষয়টি তদন্ত করছেন। এখনো সঠিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আহতদের অবস্থা খুবই গুরুতর।