নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে পদোন্নতির দাবি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের
নিজেদের 'বঞ্চিত' দাবি করে পদোন্নতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ১৯৯৪, ১৯৯৫ এবং ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করা শতাধিক কর্মকর্তা। যাদের বেশিরভাগ বর্তমানে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার কাছে এ আবেদন করেছেন কর্মকর্তারা। একইসাথে এই আবেদন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জমা দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যমূলক পদোন্নতি নীতিমালার কারণে এই চার ব্যাচের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাননি। পদোন্নতি নীতিমালায় ডিপ্লোমা ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যাকে চাইবে তাকে বেশি নম্বর দিতে পারবে। এতে পদোন্নতির বেলায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন তদবির ও অর্থের বিনিময়ে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর কারসাজি করে সিনিয়রদের বঞ্চিত করে জুনিয়রদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা প্রায় ৩০ বছর ধরে চাকরি করার পরও অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কিংবা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) পদে পদোন্নতি পাননি। ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে চাকরিতে যোগদানকারী অনেক কর্মকর্তা বর্তমানে এজিএম হয়েছেন। এসব ব্যাচে যোগদানকারীরা ডিপ্লোমা ছাড়াই পদোন্নতি পেয়েছেন। বিশেষকরে আইটি কর্মকর্তারা। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা নিয়ে কর্তৃপক্ষের এ ধরনের দ্বিমুখী আচরণ সোনালী ব্যাংকের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। যা থেকে উত্তরণ জরুরি। এজন্য কর্মকর্তারা পদোন্নতির সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি পদ্ধতিকে বাতিল চেয়েছেন।
গত মাসে সরকার পতনের পর সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীকে তার কার্যালয়ে আটকে রেখে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য চাপ দেন। ওইদিন তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন এবং পরে পদত্যাগ করেন।