হিলির মতো ভোমরা দিয়ে আসা পেঁয়াজেরও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে
দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসা ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজের মতো এবার পচন ধরেছে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে দেশে ঢোকা পেঁয়াজেও।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি'র এক খবরে বলা হয়, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে ট্রাক আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
এর আগে আমাদের দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, পাঁচ দিন ধরে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছিলো সোমবার সেগুলো দেশে ঢুকতে পারে। তবে অতিরিক্ত গরমে ট্রাকেই নষ্ট হয়ে যায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার পেঁয়াজ। সেসব পেঁয়াজ পচে, বস্তা দিয়ে পানি বের হচ্ছে; দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। শুধু দেশের এপারেই নয়, সীমান্তের ওপারে ২০০টি ট্রাকে বোঝাই থাকা পেঁয়াজেরও পচন ধরেছে।
অন্যদিকে ইউএনবির খবরে বলা হয়, সোমবার চারটি ট্রাকযোগে ৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে শনিবার ৩১টি ট্রাকে করে ৭২১ মেট্রিক টন এবং রবিবার পাঁচ ট্রাকযোগে ১০৮ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আসে।
মঙ্গলবার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, 'গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের ট্রাকের কাগজপত্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল এমন ৪০টি ট্রাক সোমবার পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ট্রাকগুলো ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।'
তিনি জানান, আরও ছয় ট্রাক পেঁয়াজ ছাড় করানো রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রবেশ করবে। এছাড়া, এখনও দুই শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতে আটকে রয়েছে, যার কোনো ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এর মধ্যে কিছু পেঁয়াজ ফিরে যাচ্ছে আর কিছু পেঁয়াজ সেখানে খালাস করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকলেও তা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।
মঙ্গলবার ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, 'গত তিন দিনে বন্দর দিয়ে মোট ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। আজ আরও কিছু পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।'