সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটি যৌক্তিক সময় লাগবে: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটি যৌক্তিক সময় প্রয়োজন।
'আমরা বলছি না, রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে তবেই নির্বাচনে যেতে হবে। আমরা এটাও বলছি না যে, আগামী ৫–৬ বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার করতে হবে। তবে সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটি যৌক্তিক সময় প্রয়োজন,' বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'কোনো বিবেকবান মানুষই ভাবতে পারে না যে, এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার করা সম্ভব। গত ১৬ বছরে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা সিস্টেমগুলো সংস্কারে একটি যৌক্তিক সময় লাগবে।'
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, 'গত ১৬ বছর বা এমনকি ৫৩ বছরেও বাংলাদেশের সংবিধান জনগণকে প্রকৃত অর্থে পাঁচ বছরের জন্য একটি "জনতার সরকার" উপহার দিতে পারেনি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন।'
তিনি বলেন, প্রতিটি সরকার নির্বাচনের আগে বড় বড় ইশতেহার ঘোষণা করলেও ক্ষমতায় এসে তা ভুলে যায়, ভুলে যায় যে তারা জনতার সরকার।
শুধু নির্বাচন কমিশনের ওপর সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের দায়িত্ব দেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ প্রক্রিয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি সিস্টেমের মধ্যে আনা জরুরি। তা না হলে নির্বাচনের সময় জবরদখল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।
'নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য একটি কার্যকর বিচারিক প্রক্রিয়ারও প্রয়োজন। এজন্য বিচার ব্যবস্থার সংস্কার অপরিহার্য।'
হাইকোর্টে এখনও 'আওয়ামী লীগের কিছু দোসর–ফ্যাসিস্ট বসে আছে' মন্তব্য করে সারজিস বলেন, তারা যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, তোষামোদি আর তেলবাজির মাধ্যমে সেখানে পৌঁছেছে।
'তাদের অপসারণ এবং যোগ্য ব্যক্তিদের বসানো জরুরি,' বলেন তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থান কিছু ব্যক্তি দিয়ে ঘটেনি মন্তব্য করে সারজিস বলেন 'পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলে অভ্যুত্থান ঘটেছিল এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল।'
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।