শাহজাহান ওমরকে প্রধান আসামি করে আ.লীগের ২০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে প্রধান আসামি করে – আওয়ামী লীগের ২০৩ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বেশকিছু অভিযোগ এনে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, মামলায় লাল মৃধা নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন – আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হোসেন শহীদ জিলানী মিলন মাহমুদ (বাচ্চু মৃধা), রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হায়দার খান লিটন, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাসান বাপ্পি মৃধা, কাঁঠালিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ. জলিল মিয়াজি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজাপুর শাখার চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা সুমন সিকদার, বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন সুরু মিয়াসহ ৫৩ জন। এছাড়াও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁঠালিয়া উপজেলা অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায়, ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওইদিন সকালে বাড়িতে আসার পথে রাজাপুরের উত্তর পিংড়ি এলাকায় তাকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা এবং তার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তিনি যে অভিযোগ দাখিল করতে গিয়েছিলেন তা গ্রহণ করা হয়নি।
শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাইপাস মোড় এলাকায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় সংগঠনের কর্মী সমাবেশে উল্লেখিত আসামিরা লোহার রড, হকস্টিক, জিআই পাইপ, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, হ্যানা, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে তৎকালীন সময়ে এক দলীয় স্বৈরশাসন ব্যবস্থা থাকায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান দেশে সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক পরিবেশ হওয়ায়, এবং সুশাসন ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে মামলা দায়ের করেছি।