কপ২৯: জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগী দেশগুলো বেরিয়ে গেল আলোচনাকক্ষ থেকে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে থাকা ছোট ও দরিদ্র দেশগুলোর প্রতিনিধিরা শনিবার (২৩ নভেম্বর) কপ২৯ আলোচনার মাঝপথে বেরিয়ে এসেছেন (ওয়াকআউট)।
আজারবাইজানে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য কোনো চুক্তি ছাড়াই জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনা নির্ধারিত সময়ের বেশি গড়ানোয় তারা এ পদক্ষেপ নেন।
গ্রুপের সামোয়ান চেয়ারম্যান সেড্রিক শুস্টার বলেন, 'আমরা এখানে এওএসআইএস (অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ড স্টেটস) এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) প্রতিনিধিরা একসঙ্গে এসেছি। আমরা একটু আগে বৈঠক থেকে বের হয়ে এসেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখানে একটি ন্যায্য চুক্তির জন্য এসেছি। আমরা মনে করছি আমাদের কথা শোনা হয়নি। একটি চুক্তি করা হচ্ছে এবং আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি... আমরা চলে এসেছি কারণ এ মুহূর্তে আমাদের মনে হচ্ছে না যে আমাদের কথা শোনা হচ্ছে।'
বাকুতে আলোচকেরা চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা করছেন। বেশ কয়েকটি দেশ শিল্পোন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রমের জন্য তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
বাকুতে থাকা ডিডব্লিউ-এর গিউলিয়া সাউদেলি জানান, 'এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যে, সময় ফুরিয়ে আসছে এবং তা সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোর বিরুদ্ধে যেতে পারে।'
'কিছু উন্নয়নশীল দেশ মনে করছে, তাদের কথা শোনা হচ্ছে না এবং আলোচনায় [তাদেরকে] যথেষ্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ধনী দেশগুলো বেশিরভাগ নিজেদের মধ্যে কথা বলছে বলে তারা অভিযোগ করছে,' সাউদেলি জানান।
এওএসআইএস তাদের ওয়াকআউটের পর একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, তারা 'প্রক্রিয়াটির প্রতি এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে'।
'আমরা বর্তমানে নিজেদেরকে থুবড়ে পড়া এনসিকিউজি (নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়েড গোল) আলোচনা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। সেখানে সামনে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না,' এতে বলা হয়।
'আমরা [আলোচনায়] সংযুক্ত থাকা ছাড়া আর কিছুই চাই না, তবে প্রক্রিয়াটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তা না হলে কপ২৯-এ আমাদের সম্পৃক্ততা চালিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে,' বিবৃতিতে আরও বলা হয়।