সিলেটে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত, আটক ৬
সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহপরাণ থানাধীন বাহুবল এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হন। তিনি বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।
তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতের হাতের রগ কেটে দেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি, তবে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে কদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধে এলাকার কিছু লোক বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে সালিশ-বৈঠকও হয়। তবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
এরই জের ধরে সাকেরের পক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের সিলেট শাহজালাল উপশহর গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী।
সূত্র জানায়, সোমবার রাতে কয়েকজন নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকায় গিয়ে স্থানীয় এক পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলাল গুরুতর আহত হন।
অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, 'ঘটনার তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।'
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ নিয়ে শাহপরাণ গেটে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন ও যুবদল নেতাকর্মীরা।