ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরটি মিথ্যা, সীমান্তে কোনো ড্রোন মোতায়েন হয়নি: সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস
ভারত সীমান্তে বাংলাদেশ বায়রাক্তার ড্রোন মোতায়েন করেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে যে খবর প্রকাশ করেছে, সেটি মিথ্যা ও মনগড়া বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
আজ (৭ ডিসেম্বর) সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করার দাবি করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যে খবরটি প্রকাশ করেছে, তার সত্যতা সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টসকে বলেন: 'দেশের কোনো অঞ্চলে রুটিন কার্যক্রম ছাড়া অন্য কোনো কাজে কোনো ড্রোন মোতায়েন করা হয়নি।'
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি 'পরিকল্পিত প্রচারণার অংশ' বলে উল্লেখ করে প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
উল্লেখ্য, আজ ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই ড্রোনগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গোয়েন্দা, নজরদারি ও পরযবেখনের জন্য পরিচালনা করছে।
এই খবর পাওয়ার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ভুয়া খবর প্রকাশের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতীয় ৪৯টি সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্তত ১৩টি মিথ্যা প্রতিবেদন ছড়িয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রিউমর স্ক্যানার বলেছে, 'আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক গুজব।'
রিউমর স্ক্যানারের তথ্যমতে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে গুজব ও ভুয়া খবর প্রচারে শীর্ষে রয়েছে রিপাবলিক বাংলা, হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ, লাইভ মিন্ট, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ ও আজতক।