বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ’: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে 'অত্যন্ত দৃঢ়' ও 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে উল্লেক করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি ভারতকে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর ছায়া ফেলা 'মেঘ' মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। ৪০ মিনিটের এ বৈঠকে তারা সংখ্যালঘুদের সমস্যা, ভুল তথ্য প্রচার, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিবকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, 'আমাদের জনগণ উদ্বিগ্ন। কারণ, তিনি (শেখ হাসিনা) সেখান (ভারত) থেকে অনেক বিবৃতি দিচ্ছেন। এটা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।'
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের কাজ হলো তাদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা। এটি একটি নতুন বাংলাদেশ।' বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত রূপরেখাও তুলে ধরেন তিনি।
ড. ইউনূস বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে তার উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমরা সবার জন্য সমৃদ্ধশালী নতুন ভবিষ্যত গড়তে চাই।'
সংখ্যালঘু ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি নাগরিককের সুরক্ষা ও ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও লিঙ্গ নির্বিশেষে তাদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, 'আমরা একটি পরিবার। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।'
এ সময় বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, 'সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা নেই। আমরা এটাকে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হিসেবে দেখি।'
তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের নেতাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ছিলেন যারা সবার আগে অধ্যাপক ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রয়েছে এটা ভুল ধারণা। আমাদের সম্পর্ক একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়, সবার সঙ্গেই।'
মিশ্রি বলেন, 'ভারত গত মাসে বাংলাদেশিদের ভিসার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। আগামী দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়াবে।' তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারি।'