লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৩
লক্ষ্মীপুরে গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশন নামে একটি গ্যাস পাম্পে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থালেই একজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছে আরও ৩ জন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (২৬) পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- হোসেন আহমেদ, নাইম ও আবুল হোসেন।
এর আগে, গত দুই মাস আগেও একই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিল করতে আসা আরেকটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। একাধিকবার এমন দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
তাদের অভিযোগ, বাসের সিলিন্ডারগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচলকারী 'আল মদিনা পরিবহন' নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রিন লিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলেন্ডারে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়; আহত হন অন্তত ৩ জন।
পরে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়রা আরও জানান, আল মদিনা নামের ওই বাসটি শহরের ঝুমুর এলাকায় রং এর কাজ শেষে ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। এ সময় রংমিস্ত্রি আবুল কালামও ফিলিং স্টেশনে বাসের সাথে আসেন। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মারা যান আবুল কালাম।
স্থানীয়রা বলছেন, শীতের রাত হওয়ায় গাড়ির চাপ ফিলিং স্টেশনে ছিলনা। তা না হলে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়তো।
তাদের অভিযোগ, সিলিন্ডারের মেয়াদ যাচাই-বাছাই না করেই গ্যাস রিফিল করা হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। একই ফিলিং স্টেশনে গত ১৪ অক্টোবর একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু ও ৯ জন আহত হয়।
এদিকে গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিংস স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিনের দাবি, যে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটির মেয়াদ ছিল।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আর ৩ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা তিনি।