সাংবাদিক কাজলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। ১২ নভেম্বর মামলার নথিসহ তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কাজলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। তিনি জানান, এ মামলায় গত ২৪ আগস্ট কাজলের জামিন না মঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আবেদন করা হয়। সোমবার শুনানি শেষে আদালত দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে সিডিসহ ১২ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হতে বলেছেন।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলাটি করেছিলেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।
এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
মামলা হওয়ার পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের 'পক্ষকাল' অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। তার সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে, ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।