আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় জুলাই ও ছত্রিশ নামে দুটি চত্বর তৈরি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। এবারের মেলায় আটটি দেশের ৩০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
এদিন রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও উদ্যোক্তাদের রপ্তানি ভিত্তি শক্তিশালী করতে সেবাখাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। এটি বাড়াতে পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে আরও বিনিয়োগে সব ব্যবসায়ীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।'
উদ্যোক্তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো- কে পণ্যটি তৈরি করেছে তা জানানো।
তরুণদের পাশাপাশি তরুণীরা ভালো ভালো ব্যবসা পরিচালনা করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, অনেক তরুণী রয়েছে যারা অসংখ্য কাজ করে। ঘরে বসে শাড়ি বিক্রি করে। গৃহিণী চার-পাঁচ বাচ্চার মা ব্যবসা করে- ঘরে বসে রান্না করে খাবার সরবরাহ করে। অর্ডার দিলে ঠিক সেই আইটেমগুলো রান্না করে সরবরাহ করছে। চমৎকার বুদ্ধি খাটিয়ে এ ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করছে, তাদের কাজ তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ একটা অপূর্ব সুযোগের দেশ উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি- ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশ। এরমধ্যে বেশিরভাগ মানুষ হলো তাজা তরুণ-তরুণী। এরকম শক্তি খুব বেশি দেশের কপালে নেই। এ কারণে বারে বারে বলেছি, এই তারুণ্যের শক্তিকে উন্মোচিত করার কথা। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় তরুণদের জন্য আলাদা জায়গা রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলার একাংশ তরুণদের জন্য থাকবে, এখানে ২৫ বছরের নিচে হতে হবে এরকম একটা শর্ত দেওয়া যেতে পারে। ২৫ বছরের নিচে যারা, তারা এখানে আসবে অন্যের কাছ থেকে শিখতে, আবার কেউ আসবে অন্যকে শেখাতে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় অনলাইন টিকেটিং সহ বেশকিছু নতুন বিষয় রয়েছে। আগামীতে মেলা থেকে অনলাইনে কেনার ব্যবস্থা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রহিম খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে।
এছাড়া দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।