'দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত': টিউলিপকে ইলন মাস্ক
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততার অভিযোগের ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতি-বিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিক।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ টিউলিপের পদত্যাগের খবর শেয়ার করে এক পোস্টে তিনি বলেন, "শিশু কল্যাণ বিষয়ক লেবার মন্ত্রী অপরাধীদের আড়াল করছেন, আর তাদের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত!"
টিউলিপের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমে মিথ্যাচার ও অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সংবাদ প্রচারের পরে, তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছিল।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট বা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের থেকে পাওয়া টিউলিপের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলে। বাংলাদেশেও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যুক্তরাজ্যে দুর্নীতিবিরোধী নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রিপদে থাকার জন্য কোনো নিয়ম (কোড) ভাঙা হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর স্বতন্ত্র উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসকে গত ৭ জানুয়ারি আহ্বান জানান তিনি।
লরি ম্যাগনাস জানান, সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধ মন্ত্রী মন্ত্রীসভার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন এমন কোনো প্রমাণ তিনি পাননি, তবে তাকে পুরোপুরি নির্দোষ ঘোষণা করাও সম্ভব নয়।
ম্যাগনাস তার প্রতিবেদনে বলেন, টিউলিপ 'তার পরিবারের বাংলাদেশের সাথে সংযোগের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুনামের ঝুঁকি' সম্পর্কে আরও সতর্ক হতে পারতেন।
একারণে টিউলিপকে তার বর্তমান দায়িত্বে রাখার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন ম্যাগনাস।
এরপরই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টিউলিপ। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমা রেনলডস।
লেবার পার্টির মনোনয়নে গত বছর টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। এরপর গত জুলাইয়ে তাকে ইকোনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেয় প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকার।
গত বছর ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।